Life
is beautiful for the believers,
The
hereafter is beloved to the pious;
They
are the only happy ones.
গোলাপ কার
না ভালো
লাগে? গোলাপের
মোহনীয় গন্ধ
সবার মন
কেড়ে নেয়।
কবির কথায়,
গোলাপ তুলতে
গিয়ে কাঁটার
খোঁচা খেয়ো,
বেশ ভালো
কথা; কিন্তু
পদ্মফুল তুলতে
গিয়ে বৃথা
সময় নষ্ট
কোরো না।
গোলাপের মনোহারী
রূপ-রহস্য
নিয়ে অনেক
গল্প আছে।
তারপরও গোলাপ
কারো কারো
ভালো লাগে
না। গোলাপের
গন্ধ অনেকে
সহ্য করতে
পারে না।
গোলাপ দেখলেই
হাঁচি-কাশি
শুরু হয়ে
যায়। গোলাপ
দেখলেই সে
মুখ ফিরিয়ে
নেয়। একে
আমরা ডাক্তারি
ভাষায় বলি
অ্যালার্জি।
অ্যালার্জি নিয়েও
মনের অনেক
ভাবনা আছে।
এক লোক
একবার ডাক্তারের
কাছে এসে
বলল, তার
দুধে অ্যালার্জি।
দুধ খেলেই
তার শরীরে
চাকা চাকা
দেখা দেয়।
চুলকানি শুরু
হয়। পেট
খারাপ হয়ে
যায়। ডাক্তার
তাকে পরীক্ষা
করার জন্য
‘দুধ' বলে
খাওয়ালেন পানীয়
দ্রবণ। শুরু
হলো তার
চুলকানি। শরীরে
দেখা দিলো
চাকা। পেটে
দেখা দিলো
অস্বস্তি। তারপর
তাকে খাওয়ানো
হলো ‘পানি'
বলে দুধ।
কিন্তু তার
কোনো সমস্যা
দেখা দিলো
না। বলুন
তো, এটা
কিসের আলামত?
নিশ্চয়ই তার
বিশ্বাসে অবিশ্বাস
রয়েছে। আর
এটাকেই আমরা
বলি অ্যালার্জি।
মনের ভিতর
যত অবিশ্বাস,
চেতনায় তত
নেতিবাচক চিন্তা।
এসব চিন্তা,
বিশ্বাসের মধ্যে
নিজেকে, অন্যদের
এবং জীবন
ও জগৎকে
ভুলভাবে ব্যাখ্যা
করে, নেতিবাচকভাবে
মূল্যায়ন করে।
ফলে এ
ধরনের চিন্তা
থেকে আমাদের
মনে উদ্বেগ,
টেনশন, হতাশা,
বিষণ্ণতা, হিংসাবিদ্বেষ,
হীনতা, দীনতা
ইত্যাদি মনোকষ্টের
উদ্ভব ঘটায়।
এ ধরনের
চিন্তাকে বিজ্ঞানের
ভাষায় অকার্যকর
চিন্তা (dysfunctional) বলে অভিহিত
করা হয়।
আবার যে
চিন্তা আমাদের
মনকে উৎফুল্ল
রাখে, প্রফুল্ল
রাখে, আনন্দ
দেয়, স্বস্তি
দেয়, শান্তির
সুবাতাস প্রবাহিত
করে; সে
চিন্তাই মানুষের
জন্য কল্যাণ
ও সুখ
বয়ে আনে।
এ ধরনের
চিন্তাকে কার্যকর
(functional) বা পজিটিভ
চিন্তা হিসেবে
আখ্যায়িত করা
হয়।
এই পজিটিভ
বা ইতিবাচক
চিন্তাই হচ্ছে
মানুষের মনের
পুষ্টিদায়ক খাবার।
পুষ্টির অভাবে
যেমন শরীর
অসুস্থ হয়ে
যায়, নানা
রোগব্যাধি মানুষকে
আক্রান্ত করে,
শরীর দুর্বল
হয়ে যায়;
তেমনি নেতিবাচক
চিন্তাও মানুষকে
অসুস্থ করে
তোলে। মনের
খাবার হচ্ছে,
আমাদের চিন্তা
ও বিশ্বাস।
যদি সুস্থ,
আনন্দদায়ক, প্রীতিকর,
সৃজনশীল চিন্তা
আমরা প্রতিদিন
আমাদের মনকে
সরবরাহ করতে
পারি; তাহলে
মন থাকবে
তৃপ্ত, উদার,
সতেজ, সক্রিয়
ও সবল।
তাই পুষ্টিকর
তরতাজা খাবারের
মতো মনকেও
তরতাজা সুস্থ
ইতিবাচক চিন্তা
উপহার দিন
প্রতিদিন।
আর ইতিবাচক
চিন্তার জন্য
প্রয়োজন বিশ্বাস।
আমাদের মন
কোন পরিস্থিতিতে
কী ধরনের
প্রতিক্রিয়া দেখাবে
তা নির্ভর
করে আমাদের
বিশ্বাসের ধরন
ও প্রত্যাশার
ওপর। আমাদের
শরীরে আঘাত
পেলে ব্যথা
অনুভূত হয়,
তেমনি মনে
কোনো আঘাত
পেলে মনেও
ব্যথার সৃষ্টি
হয়। এই
ব্যথাকে আমরা
মনোকষ্ট বলি।
আর মনের
এ প্রতিক্রিয়ার
জন্য এ
ধরনের মনকে
আমরা ‘প্রতিক্রিয়াশীল মন' (Reactive mind) বলে থাকি।
প্রতিক্রিয়াশীল মনের
বিপরীত হচ্ছে
‘যৌক্তিক মন'
(analytical mind)। এ
ধরনের মন
যে কোনো
পরিস্থিতিকে বিচার-বিশ্লেষণ করে
তার প্রতিক্রিয়া
প্রকাশ করে।
এ ধরনের
মনের মূলশক্তি
পজিটিভ চিন্তা।
তাই এ
ধরনের মন
কখনো মনোকষ্টের
শিকার হয়
না। মনের
গভীরে যে
বিশ্বাস থাকে,
সে বিশ্বাসই
মানুষকে সৎপথে
পরিচালিত করে।
আর সৎ
বিশ্বাসই মানুষকে
সৎ পথে
পরিচালিত করতে
পারে। আবার
সৎ বিশ্বাসের
উৎস হচ্ছে
সৎ আদর্শ।
এখানে বিশ্বাসের
অন্য অংশটি
হচ্ছে, আত্মবিশ্বাস।
আত্মবিশ্বাস মানুষের
মনে জন্মগতভাবে
বাস করে।
পরিবেশ-পরিস্থিতি
অনুযায়ী এ
ধরনের বিশ্বাস
থেকে নেতিবাচক
চিন্তার উদ্ভব
হতে পারে।
আত্মতুষ্টি হচ্ছে
এ ধরনের
বিশ্বাসের মূল
চালিকাশক্তি। এ
ধরনের বিশ্বাসে
আমরা গর্ব
অনুভব করতে
পারি। অহঙ্কার
করতে পারি।
সুখ ও
তৃপ্তি অনুভব
করতে পারি।
আবার অতৃপ্তি,
অসন্তোষ, গ্লানি,
হীনতা প্রভৃতি
বোধও জাগতে
পারে। এটা
এক ধরনের
দ্বানিদ্বক মনের
জন্ম দিতে
পারে। যে
মন সব
সময় নিজেকে
নিয়ে ব্যস্ত
থাকে। আসলে
আমাদের মন
জন্মগতভাবেই সুবিধাবাদী।
আদর্শের মিশ্রণ
এ মনকে
পরিবর্তন করে
উপকারী মনে
রূপান্তর করতে
পারে। এ
মন মানুষের
উপকারে এবং
কল্যাণে কাজ
করে যায়।
আর পরোপকারী
মন কখনো
অসুস্থ হয়
না। অন্যের
কল্যাণ, সমাজের
কল্যাণ মানুষের
মনকে সুস্থ
রাখার অন্যতম
উপায়। তাই
পরোপকারে মনকে
নিয়োজিত রাখুন
এবং সুস্থ
থাকুন।
-আহমদ ফারুক,
ইসলামিক সাইকোথেরাপি
সেন্টার,
0 comments:
Post a Comment