"ডায়রিয়া বা
পাতলা পায়খানা
কনটেন্টটিতে ডায়রিয়া
কাকে বলে,
ডায়রিয়ার কারণ,
ডায়রিয়া হলে
করণীয়, ডায়রিয়া
হলে যা
করা যাবে
না, স্যালাইন
বানানো ও
খাওয়ার নিয়ম,
কখন চিকিৎসকের
শরণাপন্ন হতে
হবে, চিকিৎসার
জন্য যোগাযোগ,
ডায়রিয়া প্রতিরোধে
করণীয় এসব
বিষয়ে বর্ণনা
করা হয়েছে।"
বাংলাদেশে শিশু-মৃত্যুর অন্যতম
প্রধান কারণ
হলো ডায়রিয়া।
পায়খানায় শুধু
মল ও
পানি থাকলে
তাকে ডায়রিয়া
বা পাতলা
পায়খানা এবং পাতলা
পায়খানার সাথে
রক্ত গেলে
তাকে আমাশয়
বলে। অধিকাংশ
ডায়রিয়ায় ওষুধ
প্রয়োজন পড়ে
না। শুধু
খাবার স্যালাইনেই
সারে। ডায়রিয়া
হলে শরীর
থেকে পানি
ও লবণ
জাতীয় পদার্থ
বেরিয়ে গিয়ে
পানি স্বল্পতা
দেখা দেয়।
ডায়রিয়ার সঙ্গে
কখনো কখনো
জ্বর, বমি
কিংবা পেটের
ব্যথাও হতে
পারে।
ডায়রিয়া কাকে বলে
বার বার
পাতলা পায়খানা
হওয়াকে ডায়রিয়া
বলে।
ডায়রিয়ার কারণ
- দূষিত খাবার
- দূষিত পানি
- রোগ জীবানু
- কৃমি
ডায়রিয়া হলে করনীয়
শিশুর ডায়রিয়া হলে ঘরে বসে বিশেষ যত্ন নিতে হবে। যেমন:
- বার বার খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে।
- বেশি করে তরল খাবার যেমন-ভাতের মাড়, চিড়ার পানি ডাবের পানি খাওয়াতে হবে।
- আর্সেনিক মুক্ত নিরাপদ টিউবওয়েলের পানি খাওয়াতে হবে। টিউবওয়ালের পানি পাওয়া না গেলে পুকুর বা নদীর পানি চুলায় চড়িয়ে বুদবুদ ওঠা থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত ফুটিয়ে খাওয়াতে হবে।
- শিশুকে স্বাভাবিক খাবার খাওয়ানো চালিয়ে যেতে হবে। অল্প অল্প করে বার বার খাওয়াতে হবে।
- যে সব শিশু মায়ের দুধ খায় তাদের ঘনঘন মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে।
- স্বাস্থ্যকর্মীর পরামর্শ মোতাবেক জিন্ক খাওয়াতে হবে।
ডায়রিয়া হলে যা করা যাবে না
- খাবার বন্ধ করা যাবে না।
- স্বাস্থ্যকর্মীর পরামর্শ ছাড়া ঔষধ দেয়া যাবে না।
স্যালাইন বানানো ও খাওয়ার নিয়ম
- পুরো এক প্যাকেট স্যালাইন আধা লিটার পানিতে একবারেই ঢেলে দিতে হবে
- স্যালাইন পানিতে পুরোপুরি না মিশে যাওয়া পর্যন্ত নাড়তে হবে
- ২ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য প্রতি বার পায়খানার পর ১০-২০ চা চামচ পরিমাণ স্যালাইন খাওয়াতে হবে
- ২ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের জন্য প্রতি বার পাতলা পায়খানার পর ২০-৪০ চা চামচ পরিমান স্যালাইন খাওয়াতে হবে বা যতটুকু খেতে চায় সেই পরিমাণ খাওয়াতে হবে।
- প্যাকেট থেকে বানানো স্যালাইন ১২ ঘন্টা পর্যন্ত খাওয়ানো যায়।
কখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে
- যদি শিশু নেতিয়ে পড়ে বা অজ্ঞান হয়ে যায়।
- যদি খিঁচুনী হয়।
- যদি শিশুর বেশী বেশী পায়খানা বা বমি হয়।
- যদি শিশু খাবার খেতে না পারে।
- শিশুর যদি চোখ বসে যায়।
- শিশুর পাতলা পায়খানায় যদি রক্ত থাকে।
চিকিৎসার জন্য যোগাযোগ
- উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
- জেলা সদর হাসপাতাল
- মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
- বেসরকারী বা এনজিও হাসপাতাল
ডায়রিয়া প্রতিরোধে করণীয়
- ৬ মাসের কম বয়সী শিশুকে শুধুমাত্র মায়ের দুধ ও স্যালাইন খাওয়াতে হবে।
- যদি সম্ভব হয় তবে শিশুকে অসুস্থ লোক বা রোগী থেকে দূরে রাখতে হবে।
- খাবার তৈরীর আগে, শিশুকে খাওয়াবার পূর্বে এবং পায়খানার পর সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে।
- সব সময় সিদ্ধ ঠান্ডা পানি ব্যবহার করতে হবে।
- বোতলের দুধ খাওয়ানোর থেকে বিরত থাকতে হবে।
- ছোট বাচ্চাদের খাওয়ানোর সময় চামচ ব্যবহার করতে হবে।
- জলাবদ্ধ পায়খানা ব্যবহার করতে হবে।
- শিশুকে হামের টিকা দিতে হবে।
সচরাচর জিজ্ঞাসা
প্রশ্ন.১.ডায়রিয়া কাকে বলে?
উত্তর. স্বাভাবিকের
চেয়ে ঘনঘন
পাতলা পায়খানা
হওয়াকে ডায়রিয়া
বলে। ডায়রিয়া
সাধারণত একটি
ভাইরাসজনিত রোগ।
ডায়রিয়া হলে
শরীর থেকে
পানি ও
লবণ জাতীয়
পদার্থ বেরিয়ে
গিয়ে পানি
স্বল্পতা দেখা
দেয়।
প্রশ্ন.২.ডায়রিয়ার কারণ গুলো কি কি?
উত্তর.
- দূষিত খাবার
- দূষিত পানি
- রোগ জীবানু
- কৃমি
প্রশ্ন.৩.শিশুর ডায়রিয়া হলে কি করতে হবে?
উত্তর. শিশুকে:
- ৬ মাসের কম বয়সী শিশুকে শুধুমাত্র মায়ের দুধ ও স্যালাইন খাওয়াতে হবে।
- যদি সম্ভব হয় তবে শিশুকে অসুস্থ লোক বা রোগী থেকে দূরে রাখতে হবে।
- খাবার তৈরীর আগে শিশুকে খাওয়ার পূর্বে এবং পায়খানার পর সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে।
- সব সময় সিদ্ধ ঠান্ডা পানি ব্যবহার করতে হবে।
- বোতলের দুধ খাওয়ানোর থেকে বিরত থাকতে হবে।
- ছোট বাচ্চাদের খাওয়ানোর সময় চামচ ব্যবহার করতে হবে।
প্রশ্ন.৪. খাবার স্যালাইন কিভাবে বানাতে হয়?
উত্তর. পুরো
এক প্যাকেট
স্যালাইন আধা
লিটার পানিতে
একবারেই ঢেলে
দিতে হবে।
স্যালাইন পানিতে
পুরোপুরি না
মিশে যাওয়া
পর্যন্ত নাড়তে
হবে।
তথ্যসূত্র
· পরিবার স্বাস্থ্য
শিক্ষা কর্মসূচী,
স্বাস্থ্য শিক্ষা
ব্যুরো, স্বাস্থ্য
অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য
ও পরিবার কল্যাণ
মন্ত্রনালয়।
· ডায়রিয়া, লিফলেট,
স্বাস্থ্য শিক্ষা
ব্যুরো, স্বাস্থ্য
অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য
ও পরিবার কল্যাণ
মন্ত্রনালয়।
0 comments:
Post a Comment