মনটা মাঝে মাঝেই
খুব খারাপ হয়ে যায়। মন এতটাই খারাপ থাকে যে নিজেকে খুব অসহায় মনে হয় তখন। যখন বিষন্নতা
আপনার জীবন থেকে সব আনন্দ কেড়ে নেয়, তখন নিজেকে একটু হলেও ভালো রাখার জন্য কিছু খারাপ
কাজ করুন। কি, অবাক হচ্ছেন?
বিস্ময়কর হলেও
সত্যি যে নিয়ম ভাঙ্গার মাঝে আছে আলাদাই এক রকমের আনন্দ। নিষিদ্ধ কাজের প্রতি মানুষের
এই আকর্ষন চিরন্তন একটি ব্যাপার। আর তাই মানুষ যে কাজটাকে খারাপ হিসেবে জানে তা করে
সাময়িক আনন্দ পায়। তবে সেগুলো অবশ্যই "ছোটখাটো" খারাপ কাজ। খুব বড় কোনো খারাপ
কাজ করে ফেললে আবার পরবর্তিতে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে কিংবা অনুশোচনায় ভোগার সম্ভাবনা
থাকে। আসুন জেনে নেয়া যাক মন সাময়িক ভাবে ভালো করার জন্য ৭টি "নিরীহ" খারাপ
কাজের তালিকা।
ফ্লার্ট করা
মন ভালো করতে ফ্লার্টিং
এর বিকল্প নেই। ধরুন কফি খেতে গিয়ে দেখলেন একটি সুন্দর ছেলে বা মেয়ে বসে আছে একা একা।
যারা সিঙ্গেল তারা কিন্তু সেই মানুষটির সাথে কিছুক্ষন চোখাচোখি করলে এমনিতেই মন ভালো
হয়ে যাবে। অথবা ভালো লাগার কেউ থাকলে তার সাথেও খানিকক্ষণ ফ্লার্ট করতে পারেন। তবে
হ্যাঁ, অবশ্যই নির্দোষ ফ্লার্ট। কোনভাবেই অশ্লীল কিছু করতে যাবেন না। দেখবেন আপনার
মন হয়ে যাবে ফুরফুরে। তবে সেই ফ্লার্টিং অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত হওয়া উচিত।
কোনো ভাবেই যেনও সেটা টিজিং পর্যায়ে চলে না যায়।
অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
রাস্তার পাশের
ঝাল মুড়ি, ভেলপুরি কিংবা ফুচকা সবই অস্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে পরিচিত। কিন্তু রাস্তার
পাশে দাঁড়িয়ে টক ঝাল দিয়ে ফুচকা খেলে নিমিষেই মন ভালো হয়ে যায়। আবার ফাস্ট ফুড হলো
উচ্চ মাত্রার ক্যালোরি যুক্ত খাবার। অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড খেলে শরীর মুটিয়ে যায় এবং ক্যান্সারের
ঝুঁকি বাড়ে। কিন্তু যখন খুব মন খারাপ থাকে তখন একটি বার্গার অথবা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই কিংবা
মিষ্টি কিছু খাবার মন ভালো করে দেয় নিমিষেই।
ফেসবুক
যখন মন খুব খারাপ
থাকে তখন ফেসবুকে বসুন। মন খারাপ থাকলে ফেসবুকের পাতা খুললেই মন ভালো হয়ে যেতে থাকে
মজার মজার স্ট্যাটাস, কমেন্ট ও ছবি দেখে। তাছাড়া বন্ধুদের সাথে চ্যাট করেও বেশ ভালো
হয়ে যায় মন। তাই মন খারাপ থাকলে মন ভালো করার জন্য ফেসবুকে বসুন কিছুক্ষন। খুব বেশি
খারাপ লাগলে একটি স্ট্যাটাস দিন। বন্ধুদের মজার মজার কমেন্টে নিমিষেই মন ভালো হয়ে যাবে।
ফেসবুকে আসক্ত হওয়া আসলে খুব খারাপ একটা ব্যাপার। নিজেকে ভালো রাখতে ফেসবুকের ওপরে
নির্ভরশীল হওয়া আরও খারাপ একটি ব্যাপার। তবে খুব মন খারাপের সময় এত কিছু ভাবলে চলে
না।
রাত জেগে টিভি দেখা
রাত জেগে ঘুম নষ্ট
করে টিভি দেখা অবশ্যই কোনো ভালো কাজ না। কিন্তু মন ভালো করতে এইটুকু খারাপ কাজ তো করাই
যায় তাইনা? মন খুব খারাপ থাকলে রাতের বেলা বসে বসে কোনো সুন্দর সিনেমা দেখুন। সেটা
হতে পারেন অ্যাকশন সিনেমা অথবা হরর। কমেডি কিংবা রোমান্টিক সিনেমাও আপনার মন ভালো করে
দিবে।
খরচ করা
টাকা অপচয় করা
নিঃসন্দেহে খুব খারাপ একটা অভ্যাস। আর কষ্টে উপার্জিত টাকা বিনা কারণে খরচ রীতিমত অনুচিত।
কিন্তু মাঝে মাঝে এর প্রয়োজন আছে। যেমন, খুব মন খারাপের সময়ে শপিং করলে মন ভালো লাগে।
প্রয়োজন নেই এমন জিনিস কিনলেও মন ভালো হয়, আবার অনেক দিনের শখের কিছু কিনলেও। কিংবা
একটা স্পা করিয়ে ফেলুন, খুব ভালো কোথাও খেয়ে আসুন। নিজের সাধ্যের বাইরে করা কাজও মন
ভালো করে।
অতিরিক্ত আড্ডা বাজি
কাজ কর্ম ফেলে
দিয়ে আড্ডাবাজি করতে যে কেউই ভালোবাসে। কিন্তু আড্ডা বাজি করলে অনেক মূল্যবান সময়ও
নষ্ট হয় বটে। কিন্তু তাই বলে কি থেকে থাকবে আড্ডাবাজি? মন খারাপ হলেই প্রিয় বন্ধুদেরকে
নিয়ে আড্ডা দিয়ে দিন। তাহলে মন ভালো হয়ে যাবে খুব সহজেই। হোক না একদিন একটু সময় নষ্ট।
মন তো ভালো হবে!
গসিপ করা
গসিপ করা একটি
বদঅভ্যাস। কিন্তু গসিপের মাঝে আনন্দ আছে এই কোথাও কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না। মন
যখন খুব খারাপ থাকে তখন প্রিয় বন্ধুর সাথে গসিপ করুন। তবে খুব বেশি ব্যক্তিগত পর্যায়ে
নিয়ে যাবেন না গসিপকে। হালকা ফুলকো একটু গসিপ তো চলতেই পারে জীবনে।
বিষণ্ণতার চাপে
মানুষ অনেক সময় অনেক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। এমনকি আত্মহত্যার মত মারাত্মক ভুলও করে
বসেন কেউ কেউ।
তাই মন খারাপ করে বিষন্নতায় ভুগে খুব বড় ধরণের ভুল করার চাইতে কিছু নিরীহ
খারাপ কাজের মাধ্যে মন ভালো করে ফেলা গেলে ক্ষতি কি বলুন? তবে কখনোই এই কাজ গুলোকে
অভ্যাসে পরিণত করা উচিত নয়।
0 comments:
Post a Comment