হাপানী,
এ্যাজমা বা এলার্জি এবং শ্বাসকষ্ট এই বিষয়গুলি একে অপরের সংঙ্গে ঘনিষ্ঠ। এছাড়া দেখা
যায় এলার্জির তীব্রতা বাড়লে এ্যাজমা আক্রান্ত রোগীদের শ্বাসকষ্টও বেড়ে যায়। তাই যারা
এ সমস্যায় ভুগছেন তাদের কিছুটা নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করাই উচিত।
ঔষুধ ছাড়া শুধুমাত্র
নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করলেও এ সমস্যার তীব্রতা অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। এই সংক্রান্ত
রোগীদের চলাফেরা, ওঠাবসা, খাবার-দাবার এক কোথায় জীবনযাত্রার সকল বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি।
নিচে তার জন্য কিছু করণীয় এবং বর্জনীয় টিপস উপস্থাপন করা হলো।
করণীয়
এবং বর্জনীয় বিষয়সমূহ
- ঘর ঝাড়ু
দেওয়ার সময় মাস্ক ব্যবহার করুন বা গামছা দিয়ে মুখ ঢেকে রাখুন।
- মশার
কয়েলও শ্বাসকষ্ট সৃষ্টি করে থাকে এর থেকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান
করুন।
- ধূলাবালি
থেকে বাচতে রাস্তা ঘটে চলাচলের সমসয় মুখে মাস্ক ব্যবহার করুন।
- বাসা
বাড়িতে কার্পেট ব্যবহার না করাই অতি উত্তম।
- ঘরে
ধূঁপ ব্যবহার করেবেন না ।
- উচ্চ
মাত্রার সুগন্ধি ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
- যেকোন
প্রকার স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ এড়িয়ে চলুন।
- বাসায়
বিড়াল, কুকুর বা অন্য কোনো প্রাণী পোষা থেকে বিরত থাকুন।
- স্প্রে
করার সময় নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করুন কারণ এটাও বেশ ক্ষতিকর।
- যে কোনো
উপায়ে ধূমপান পরিহার করা অপরিহার্য।
- ঠান্ডা
জল এবং শীতল খাবার গ্রহণ করা পরিহার করুন।
- বাসা
বাড়িতে ফ্রীজে রাখা খাবার ভালো করে গরম করে গ্রহন করুন।
- পুরাতন
বই পত্র এবং বিছানা বা কার্পেট ঝেড়ে নেওয়ার সময়ও মাস্ক ব্যবহার করুন বা গামছা
দিয়ে মুখ ঢেকে রাখুন।
- শীতকালে
লেপ-তোষক ভাল করে রোদে শুকিয়ে ব্যবহার করুন।
- শীতের
সময় শীতবস্ত্র ধুঁয়ে ব্যবহার করুন ।
- শীত
থেকে বাচতে উলেন কাপড়ের পরিবর্তে সুতি অথবা জিন্সের কাপড় ব্যবহার
করুন।
- ছোট বা
বড় ফুল ধরা গাছের নিচে বা তার আশেপাশে বসবেন না । ফুলের পাপড়ি
আপনার শ্বাসকষ্ট বাড়াবে।
- রান্না
করার সময় মশলার ঝাঁঝাঁলো গন্ধ এড়াতে মাস্ক বা
শুকনো কাপড় ব্যবহার করুন।
- ঘরে
যাতে তেলাপোকা এবং ছারপোকা বাসা বাধতে না পারে সেদিকে দৃষ্টি
রাখুন।
- লক্ষ্য
রাখুন কি কি কারণে আপনার এলার্জি, এ্যাজমা ও শ্বাসকষ্ট বৃদ্ধি পাচ্ছে
এবং সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিন আরো কি কি করা দরকার।
ইলিশ
মাছ, চিংড়ি, গরুর মাংস, দুধ, হাঁসের ডিম (সাদা অংশ), মিষ্টি কুমড়া, কচু, বেগুন,
আপেল, কলা এ সকল খাদ্য আপনার এলার্জি ও শ্বাসকষ্ট বাড়িয়ে দিবে। তাই এসব
থেকে সাবধান থাকুন।
- শ্বাস
গ্রহনের পর প্রায় পনের সেকেন্ড শ্বাস ধরে রাখার অভ্যাস করুন।
- প্রতিদিন
কিছু সময় শ্বাসের ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন।
- সুযোগ
পেলে কিছুটা সময় জোরে জোরে শ্বাস নিন।
- সবসময়
হাসি-খুশি থাকার চেষ্টা করুন।
- ভয়, হতাশা ও চিন্তাগ্রস্থ হবেন না কখনো । বিষয়টা ইতিবাচক দৃষ্টিতে নিন।
- ভুলে
যান যে আপনার এ্যাজমা ও শ্বাসকষ্ট সমস্যা রয়েছে।
- দুই
ঠোট শীষ দেওয়ার ভঙ্গিতে এনে ধীরে ধীরে মুখ দিয়ে শ্বাস ছাড়ুন।
- শ্বাসকষ্ট
বেশি হলে বা শ্বাসকষ্ট না কমলে দেরী না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সুত্রঃ
অনলাইন
0 comments:
Post a Comment